নিজস্ব প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে মায়ের পরকিয়ায় বাঁধ দেওয়ায় সন্তানকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে । করিমগঞ্জ উপজেলায় চরদেহুন্দা গ্রামে নিজের মেয়েকে নিজ হাতে গলা চেপে হত্যা করেছে এক পাষন্ড মা।
বুধবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে করিমগঞ্জ উপজেলার ৪নং ওয়ার্ডের চরদেহুন্দা এলাকায় আবু তাহেরের বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে।নিহত মোছাঃ মায়শা আক্তার (১৮) ৪নং ওয়ার্ডে চর দেহুন্দা গ্রামের আব্দুল্লাহর মেয়ে।মায়শা কওমী মহিলা মাদ্রাসার মেশকাতের ছাত্রী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) সকালে লাশ উদ্ধার করে মা স্বপ্না আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, স্বপ্না আক্তারের সাথে তার খালাতো ভাই ফাইজুলের পরকীয়া সম্পর্কের কথা তার দ্বিতীয় মেয়ে মায়শা আক্তার (১৮) জেনে গেলে মায়শা তার মাকে ইসলামী জ্ঞান দ্বারা অনেক ভাবে বুঝায় শেষ পর্যন্ত বুঝাতে ব্যার্থ হলে মায়শা বলে তার বাবার কাছে সব কিছু বলে দিবে সে কথা শুনে তার মা স্বপ্না আক্তার ও তার খালাতো ভাই দু,জনে মিলে মাইশাকে গলায় চেপে হত্যা করে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) বিকালে মটর সাইকেলে করে মাইশাকে তার মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে মোটর সাইকেলে করে নিয়ে আসেন।তার মায়ের খালাত ভাই ফাইজুল। মায়শা কওমী মহিলা মাদ্রাসার মেশকাতের ছাত্রী ছিলেন।
স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে জানা যায়, মৃত মাইশার পরনের কাপড় একদম নতুন কোনো চিন্ন নাই এবং যে স্থানে মৃত ছিলেন তার নিছের বিছানায় ভিজা এবং ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, স্বপ্না আক্তারকে আটকের পর প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে বলেন, মাইশার সাথে ফাইজুল নামে একজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাকে অনেক বুঝানোর পরও সে সম্পর্ক থেকে ফিরে আসছিল না এবং প্রায়ই ঝগড়াঝাটি করত। পরে বুধবার দিবাগত রাতে নিজের মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত নয়।
করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামছুল আলম সিদ্দিকী জানান, নিহতের বাবা ঢাকা থেকে আসার পর মামলা রুজু করা হবে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় স্বপ্নাকে আটক করা হলেও তার পরকিয়া প্রেমিক পালিয়ে যায়।